মাই প্রবাস: তরুণদের আত্মোন্নয়ন ও মানবিকতার এক আলোকিত দিগন্ত

তরুণদের আন্তর্জাতিক মানের গবেষণায় দক্ষ করে তুলতে নিয়মিত ওয়ার্কশপ ও ট্রেনিং পরিচালনা করছে মাই প্রবাস। এখানে অংশগ্রহণকারীরা রিসার্চ মেথডলজি, ডাটা অ্যানালাইসিস, একাডেমিক রাইটিং ও জার্নাল পাবলিকেশন বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
ইতোমধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী বিদেশি গবেষকদের সঙ্গে যৌথ গবেষণায় যুক্ত হয়েছেনযা বাংলাদেশের তরুণদের গবেষণাক্ষেত্রে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে ভিসা সহায়তা দিচ্ছে সংগঠনটি।
বিশেষ করে ইউরোপের সাইপ্রাসে শতভাগ সফলতার রেকর্ড গড়েছে তারা। এছাড়া সার্বিয়া, হাঙ্গেরি, মাল্টা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চশিক্ষার জন্যও সহায়তা প্রদান করছে ‘মাই প্রবাস’।
মাই প্রবাস বিশ্বাস করেমানসিক সুস্থতাই সফল জীবনের ভিত্তি।
তাই তারা চালু করেছে অনলাইন ও অফলাইন কাউন্সেলিং, সাইকোলজিক্যাল ট্রেনিং ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম।
পাশাপাশি ডেন্টাল কেয়ার ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করছে সংগঠনটি।
সংগঠনটি বর্তমানে একটি সমন্বিত মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইট ডেভেলপ করছে, যেখানে গবেষণা, ভিসা প্রসেসিং, স্বাস্থ্যসেবা, স্কলারশিপ গাইডলাইন ও কাউন্সেলিংসহ সব সেবা একত্রে পাওয়া যাবে।
প্রতিষ্ঠাতা মো. রিয়াজ মিয়া বলেন, “আমাদের লক্ষ্যযেন কোনো তরুণ অর্থের অভাবে স্বপ্ন হারিয়ে না ফেলে। প্রতিটি তরুণের ভেতরে অগাধ সম্ভাবনা আছে, আমরা সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলতে চাই।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনারা আক্তার বলেন, “মাই প্রবাস শুধু ভিসা সহায়তা নয়, এটি তরুণদের মানসিক ও একাডেমিক বিকাশের এক মানবিক প্ল্যাটফর্ম।”
একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান যোগ করেন, “বিদেশে পড়াশোনার স্বপ্ন দেখা সহজ, কিন্তু সেই পথে সঠিক গাইড পাওয়া কঠিনমাই প্রবাস সেই পথ দেখিয়েছে সহানুভূতির সঙ্গে।”
মাই প্রবাস’ বিশ্বাস করেতরুণ তার স্বপ্নের প্রতি সৎ থাকলে, আল্লাহ তার পথ খুলে দেন।” এই বিশ্বাস নিয়েই তারা কাজ করছে এক আলোকিত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যেযেখানে প্রতিটি তরুণ নিজেকে গড়ে তুলবে এক বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে।