ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নবীনগর খারঘরে “গণহত্যা দিবস” পালিত

১৯৭১ সালের ভয়াবহ গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার খারঘরে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হলো “খারঘর গণহত্যা দিবস”। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টায় খারঘর শহিদ স্মৃতি সৌধ প্রাঙ্গণে ও গণকবর মসজিদ-মাদরাসা চত্বরে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
খারঘর শহিদ স্মৃতি সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহিদদের স্মরণে গার্ড অব অনার, পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
একই সঙ্গে সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ হিসেবে পাগলা নদীতে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ এবং বজ্রপাত প্রতিরোধে তালগাছের চারা রোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। বড়াইল ইউনিয়নের পাগলা নদীতে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালিদ বিন মনসুর। প্রথমবারের মতো নদীতে রুই, কাতলা, কালিবাউস, মৃগেল, স্বরপুটি, কার্প, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া মাছের পোনা ছাড়া হয়।
এছাড়া বজ্রপাত নিরোধে তালগাছ রোপণ কর্মসূচিরও উদ্বোধন করেন তিনি। পুরো আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন খারঘর শহিদ স্মৃতি সংরক্ষণ ও বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক কাজী ইমরুল কবীর সুমন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ছাত্র ও স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্মমভাবে ৪৩ জন নিরীহ মুসলিম গ্রামবাসীকে হত্যা করে। পাগলা নদীর তীরে সংঘটিত এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ইতিহাসে “খারঘর গণহত্যা” নামে পরিচিত।
প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিনটি পালন করা হয় শহিদদের স্মরণে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে রাখতে এবং নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতার ইতিহাস তুলে ধরতে।