জামালগঞ্জের উত্তর ইউনিয়নের ধানুয়াখালী গ্রামে ব্যক্তি উদ্যোগে রাস্তার কাজ উদ্বোধন।

সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার ধানুয়াখালী গ্রামে বহু প্রত্যাশিত সড়ক নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকেলে জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে এ অনুষ্ঠানে গ্রামবাসীর অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বি গোলাপ মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন ইমামুল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক দানবীর আলহাজ্ব মনির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম, শিল্পপতি মনির হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লিটন রানা প্রধান এবং ধানুয়াখালী গ্রামের কৃতি সন্তান ব্যবসায়ী মোঃ নুর মিয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মেম্বার শাহজাহান সিরাজ, মহিলা মেম্বার ডরিন বেগমসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব মনির হোসেন বলেন, “আমি আপনাদের সন্তান, কারও ভাই, কারও চাচা। আজ আপনারা যে ভালোবাসা দিয়েছেন, তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। এই গ্রামকে আমি আমার নিজের গ্রাম মনে করি। তাই ব্যক্তিগত তহবিল থেকে কালভার্ট ব্রিজ থেকে পাগলপাড়া পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ করে দেবো ইনশাআল্লাহ। যুব সমাজকে সাথে নিয়ে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে কাজ করতে চাই। এছাড়া আগামী বছর ঈদগাহ মাঠের উন্নয়ন কাজও সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিলাম।”
তিনি আরও বলেন, রাজনীতির বাইরে থেকেও সমাজের কল্যাণে কাজ করতে চান। “আমি কোনো রাজনৈতিক দলের লোক নই। জনগণের ভালোবাসা এবং দোয়া পেলে প্রতিবছরই উন্নয়নমূলক কাজ করে যাবো।”
সাবেক চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম বক্তব্যে বলেন, “মনির হোসেন আমাদের গর্ব। তিনি শুধু সফল শিল্পপতি নন, একজন দানবীর মানুষও। তাঁর মতো উদার মনের মানুষ এলাকার উন্নয়নকে এগিয়ে নেবেন বলে আমাদের বিশ্বাস।”
বন্ধু লিটন রানা প্রধান বলেন, “মনির হোসেন কাজের মানুষ। তিনি এই সড়ককে জনসাধারণের উপযোগী করে দেবেন।”
ধানুয়াখালী গ্রামের ব্যবসায়ী নুর মিয়া বলেন, “গ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে আমি উদ্যোগ নিয়ে মনির হোসেনকে অনুরোধ করি। তিনি দ্বিধাহীনভাবে কাজের দায়িত্ব নেন। এ উদ্যোগের পেছনে আমার মামা আব্দুর রহিমের অবদানও ছিল, যদিও তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকায় থাকায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। তারা সবাই এ উদ্যোগকে গ্রামের উন্নয়ন ও সামাজিক সম্প্রীতির নতুন দিগন্ত হিসেবে উল্লেখ করেন।