সংবিধান ও আরপিওতে পিআর পদ্ধতি নেই : সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সংখ্যানুপাতিক বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের কোনো সাংবিধানিক বা আইনগত ভিত্তি নেই।
তিনি স্পষ্ট করে জানান, বর্তমান সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) পিআর পদ্ধতির উল্লেখ নেই। তাই আইন ও সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া এই পদ্ধতিতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি সংবিধানে নেই। এ পদ্ধতি আরপিওতেও নেই। আমাদের যে পদ্ধতি আছে, সেখানে পিআর নেই। আমরা আইন বদলাতে পারি না।”
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে—পিআর নাকি প্রচলিত পদ্ধতিতে—এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, “আরপিওটা পরিবর্তন করে যদি এটা অন্য একটা দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আইন বদলাতে হবে। আমরা তো আইন বদলাতে পারি না।”
ফেব্রুয়ারিতে ভোট গ্রহণের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে নাসির উদ্দিন বলেন, “সেটা তো আইন বদলাইতে হবে, আরপিও বদলাতে হবে। আর এখানে আরপিওতে যে সিস্টেম আছে সেটা বদলাতে হলে সংবিধানও বদলাতে হবে। আবার সংবিধান বদলাতে বলা হলে আমার বিরুদ্ধে কথাবার্তা বলবে—উনি তো পিআরের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে।”
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো একটা ফয়সালা বা মীমাংসায় আসুক। উনারা তো বুঝবেন যে আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে কি হবে না। যদি উনারা পিআর চান, তাহলে উনারা বুঝবেন।”
সিইসির এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে, ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়নের জন্য সংবিধান সংশোধন ও আরপিও পরিবর্তন অপরিহার্য। নির্বাচন কমিশন নিজস্ব ক্ষমতায় এ ধরনের আইনি পরিবর্তন আনতে সক্ষম নয় বলেও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।