ইসরায়েলের নাহাল ওজ এলাকায় গাজা থেকে ছোড়া রকেট আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। সোমবার রাতের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সেনাবাহিনী জানায়, গাজা নগরী থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় এবং সেটি প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসকে সরিয়ে দিতে ইসরায়েল বড় ধরনের স্থল ও বিমান অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিমান, ট্যাংক ও ড্রোন থেকে টানা গোলাবর্ষণ করা হচ্ছে। গাজার আল-দারাজ এলাকার বাসিন্দা সাজা আল-খারুবি বলেন, “আমরা কোথায় যাব? আমাদের কাছে পালানোর মতো কোনো উপায় নেই। সর্বত্র পরিস্থিতি ভয়াবহ।”
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এএফপি’র ফুটেজে দেখা গেছে, গাজার আকাশে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়ছে এবং বহু পরিবার তাদের জিনিসপত্র নিয়ে দক্ষিণমুখী হচ্ছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজা নগরী থেকে অন্তত সাড়ে পাঁচ লাখ মানুষ পালিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, আগস্টের শেষ নাগাদ অবরুদ্ধ গাজায় প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করছিলেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা শত্রুদের বিরুদ্ধে জয়লাভ করব। হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল করা, অপহৃতদের মুক্ত করা এবং গাজা যেন আর কখনো ইসরায়েলের জন্য হুমকি না হয়—এই লক্ষ্য অর্জন করব।”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। সেদিন ২৫১ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়; তাদের মধ্যে এখনও ৪৭ জন আটক রয়েছেন বলে দাবি ইসরায়েলের।
অন্যদিকে, হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, চলমান যুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৫ হাজার ৩৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ।