ক্রাউড ফান্ডিং : কত টাকা অনুদান পেল এনসিপি

দলটির ক্রাউডফান্ডিং কার্যক্রম ৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পর মাত্র পাঁচ দিনের ব্যবধানে ৩ হাজার ২৬৫ জন সাধারণ নাগরিক সম্মিলিতভাবে ১৩ লাখ ৮১ হাজার ৮১০ টাকা অনুদান দিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও কোষাধ্যক্ষ এস এম সাইফ মোস্তাফিজ।
বুধবার (১০ জুন) সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি জানান, এ অনুদানের মধ্যে ৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জমা পড়েছে পার্টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। এছাড়া ৪ লাখ ৯৮ হাজার ২১৪ টাকা সিটি ব্যাংক এবং ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৯৬ টাকা ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়েছে।
এই অনুদানপ্রবাহ প্রমাণ করে, রাজনীতির মাঠে নতুন ধারার উদ্যোগ ও স্বচ্ছতাপূর্ণ অর্থ সংগ্রহ প্রক্রিয়া মানুষকে আগ্রহী করে তুলছে। বিশেষ করে ঈদ ছুটির সময়েও মানুষ যেভাবে সাড়া দিয়েছে, তা এনসিপির প্রতি জনআস্থারই বহিঃপ্রকাশ।
সাইফ মোস্তাফিজ তার পোস্টে প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান, যাঁরা ইতিমধ্যেই অনুদান দিতে যোগাযোগ করছেন। তিনি জানান, কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর খুব শিগগিরই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এনসিপির ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সরাসরি অনুদান পাঠাতে পারবেন। এই লক্ষ্যে ওয়েবসাইটের (donate.ncpbd.org) আপডেট কাজও চলছে।
এনসিপির এই উদ্যোগের পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের রাজনীতিতে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি স্বচ্ছ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলা।
এর আগে, ৪ জুন বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থনৈতিক নীতিমালা ও এই ক্রাউডফান্ডিং কার্যক্রমের ঘোষণা দেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন।
রাজনীতিতে গণঅংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার এই প্রচেষ্টা ইতোমধ্যেই ব্যাপক প্রশংসা পাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এখন দেখার বিষয়, ভবিষ্যতে এই কার্যক্রম কতটা দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে এবং কতটা জনসম্পৃক্ততা অর্জন করতে পারে।