চার মাসের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। সোমবার (৫ মে) লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ১০ মিনিট) কাতারের আমিরের দেওয়া একটি বিশেষ ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে’ ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি।
খালেদা জিয়া দেশে ফিরেই সরাসরি রাজধানীর গুলশানে তার বাসভবন ‘ফিরোজা’য় উঠবেন। তার প্রত্যাবর্তন ঘিরে গুলশানের ৮০ নম্বর সড়কে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও চেয়ারপার্সনের সিকিউরিটি ফোর্স (CSF)। বাসার ভেতর-বাইরের সকল প্রস্তুতি শেষ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সাজসজ্জায় প্রস্তুত ফিরোজা।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, “বিএনপি চেয়ারপার্সন কাতার রয়েল অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দেশে ফিরছেন। আশা করি, তিনি নির্ধারিত সময়ে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছাবেন।”
তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, “কাল (মঙ্গলবার) এসএসসি পরীক্ষা থাকায়, পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য রাস্তার ওপরে যেন কেউ না দাঁড়ায়। নেতাকর্মীরা ফুটপাতে দাঁড়িয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন।”
এছাড়া তিনি পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান, যেন রাস্তায় অতিরিক্ত ভিড় বা জনসমাগম না হয় এবং ট্রাফিক স্বাভাবিক রাখা হয়।
লন্ডনে অবস্থানরত ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, “বেগম খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে রাত আড়াইটায় দোহা হয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।” তিনি আরও বলেন, “তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে গাড়ি চালিয়ে খালেদা জিয়াকে হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছে দেবেন।”
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে করে লন্ডনে চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমান বেগম খালেদা জিয়া। প্রথম ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি থাকার পর তিনি তারেক রহমানের বাসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান, যাঁরা তার সঙ্গেই দেশে ফিরছেন।
দেশে ফেরা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে তৈরি হয়েছে ব্যাপক উৎসাহ ও আবেগ। সবাই প্রিয় নেত্রীকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। এখন পুরো বিএনপি পরিবার অপেক্ষা করছে—অন্তরভরা এক প্রত্যাবর্তনের জন্য।