ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ৫৫ হাজার ছুঁইছুঁই। সোমবার দিনভর চালানো অভিযানে নিহত হয়েছেন অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ৩৮৮ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত গাজা অঞ্চল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) ওইদিন থেকেই গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে, যার রেশ এখনও কাটেনি। সর্বশেষ সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৯২৭ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক।
প্রথম দফা অভিযান শেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের জানুয়ারিতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ইসরায়েল। তবে শান্তির সেই ক্ষণস্থায়ী প্রহর বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। গত ১৮ মার্চ থেকে ফের শুরু হয় দ্বিতীয় দফার সামরিক অভিযান। এ পর্যায়ে গাজায় আরও ৪ হাজার ৬৪৯ জন নিহত এবং প্রায় ১৪ হাজার ৫৭৪ জন আহত হন।
প্রসঙ্গত, হামাসের ২০২৩ সালের হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এখনও অন্তত ৩৫ জন জিম্মি জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে, যাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে আইডিএফ।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধে একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘গণহত্যা’ অভিযোগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) মামলাও হয়েছে। কিন্তু ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন— হামাস পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র একটি নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। নেতানিয়াহু সম্মতি দিলেও হামাস এখনো সে প্রস্তাবনা মেনে নেয়নি।