চার দিনের সরকারি সফরে আজ (সোমবার) যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরের অন্যতম আকর্ষণ—রাজকীয় আমন্ত্রণে তিনি দেখা করবেন ব্রিটেনের রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে এবং রাজা চার্লসের হাত থেকে গ্রহণ করবেন ‘কিংস চার্লস হারমনি অ্যাওয়ার্ড’।
বাকিংহাম প্যালেসে অনুষ্ঠিতব্য এই অনুষ্ঠানে ড. ইউনূসের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন। এ সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।
বুধবার রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সফরসূচি ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, এই সফর কেবলমাত্র সম্মাননা গ্রহণে সীমাবদ্ধ নয়। যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনই এই সফরের মূল লক্ষ্য।
শফিকুল আলম আরও জানান, সফরের আগে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে রাজা চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় ছাড়াও যুক্তরাজ্যে পাচার হওয়া বাংলাদেশি অর্থ ফিরিয়ে আনার সম্ভাব্য কৌশল নিয়ে আলোচনা হয়।
এই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্রিটেনে বাংলাদেশি অর্থপাচার ইস্যু আলোচনার টেবিলে উঠবে—এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব রুহুল আলম সিদ্দিকী এক বিবৃতিতে জানান, “এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফর। প্রধান উপদেষ্টা ৯ জুন ঢাকা থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন এবং ১৪ জুন দেশে ফিরবেন।”
সফরকালে ড. ইউনূস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেবেন। এছাড়া ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য, বিনিয়োগকারী ও বাঙালি কমিউনিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক ও মতবিনিময়ের কর্মসূচি রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলতে পারে এই উচ্চপর্যায়ের সফর।
