গ্রীষ্মকালে হজমের ঝামেলা যেন নিত্যসঙ্গী। গ্যাস, পেট ফাঁপা বা ফোলাভাব কমাতে কাজে আসতে পারে কিছু ঘরোয়া পানীয়। জেনে নিন কোন ৫টি পানীয় সহজে হজমে সাহায্য করে।
গরমকাল মানেই শরীরে পানিশূন্যতা, দুর্বল হজমশক্তি আর খাবার হজম না হওয়া থেকে শুরু করে পেট গোঁজানো ও অস্বস্তি—সব মিলিয়ে গ্রীষ্মে পেটের সমস্যা বেড়েই চলে। অতিরিক্ত তেল-মসলা বা অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া এই সমস্যা আরও তীব্র করে তোলে। তবে চিন্তার কিছু নেই—হাতের কাছেই আছে কিছু প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য পানীয়, যা হজমশক্তি বাড়াতে ও পেট ঠান্ডা রাখতে সহায়ক।
১. পুদিনা পাতার উষ্ণ চা
পুদিনা শুধু ঠান্ডা জিনিস নয়, এটি হজমের শক্তিশালী সহায়কও বটে। এতে থাকা মেন্থল উপাদান পেটের অভ্যন্তরীণ পেশি শিথিল করে, ফলে গ্যাস জমা বা ফোলাভাব সহজে কমে। খাবারের পর এক কাপ গরম পুদিনা চা পেটকে দেয় আরাম ও হালকা অনুভূতি।
২. মৌরি বীজের পানীয়
মৌরির বীজে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান যেমন অ্যানিথোল অন্ত্রের চলাচল স্বাভাবিক রাখে, আটকে থাকা গ্যাস বাইরে বের করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য হ্রাস করে। মৌরি চা শুধু হজম নয়, মুখের দুর্গন্ধ ও বদহজমজনিত মাথাব্যথাও কমাতে পারে।
৩. চিনি ছাড়া আনারসের রস
আনারসে থাকা ব্রোমেলেন এনজাইম প্রোটিন ভাঙতে সাহায্য করে এবং পেটের প্রদাহ হ্রাস করে। খাওয়ার পর এক গ্লাস ফ্রেশ আনারসের রস পেটে ভারী ভাব কমায় ও হজম প্রক্রিয়াকে গতিশীল করে।
৪. আপেল সিডার ভিনেগার মিশ্রিত পানি
প্রাকৃতিক অ্যাসিড ও এনজাইমে পরিপূর্ণ আপেল সিডার ভিনেগার হজমে সহায়ক। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ ভিনেগার মিশিয়ে খাওয়ার আগে পান করলে তা হজমে সাহায্য করে এবং ফোলাভাব কমায়।
৫. মেথি ভেজানো পানি
মেথি বীজ রাতভর পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে সেই পানি খেলে পাচনতন্ত্রের কার্যকারিতা বাড়ে এবং অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও মুক্তি দেয়।