মো: রাজিব হোসেন, মাগুরা।। আলোচিত ক্লুলেছ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন থেকে শুরু করে ভয়াবহ ডাকাতি প্রতিরোধ ও মাদকবিরোধী অভিযানে অসামান্য সাফল্যের স্বীকৃতি হিসেবে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) পেলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাসুদুর রহমান (বিপিঃ ৮২০৮১২৮৫০৬)।
২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর তিনি আলমডাঙ্গা থানায় ওসি পদে যোগদানের পর মাত্র কয়েক মাসেই স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় দৃশ্যমান পরিবর্তন আনতে সক্ষম হন।
তার সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য দৃষ্টান্ত হলো—
১. ফরিদপুরের মেহগনি বাগানে মোটরসাইকেলসহ পুড়িয়ে মারা ক্লুলেছ হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং চারজন আসামি গ্রেপ্তার।
২. আইন্দিপুর গ্রামের জিয়া খালে কচুরীপানার নিচে পাখিভ্যান চালকের মরদেহ উদ্ধারে ক্লুলেছ হত্যার জট খুলে প্রধান আসামিকে আটক।
৩. রামদিয়া বাজারে কুপিয়ে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন এবং তিনজন অপরাধীকে গ্রেপ্তার।
৪. আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া হাইওয়েতে সংঘটিত ডাকাতি মামলায় পাঁচ ডাকাত গ্রেপ্তার।
৫. কুলপালা গ্রামের ভাদরিয়া পুলে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় চার ডাকাত গ্রেপ্তার।
এছাড়াও তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদকবিরোধী অভিযান ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অসাধারণ তৎপরতা দেখিয়েছেন। তার নেতৃত্বে মাত্র কয়েক মাসে ২৬৩ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে অনেকেই ছিলেন চিহ্নিত অস্ত্রধারী ও মাদক ব্যবসায়ী। এই সফলতা আলমডাঙ্গা থানার জনগণের মধ্যে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ তৈরি করেছে।
এই অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি খুলনা বিভাগে একমাত্র অফিসার ইনচার্জ হিসেবে এবং সারা দেশের মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করে পিপিএম পদকে ভূষিত হন। গতকাল ঢাকায় আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ইউনুসের হাত থেকে তিনি এই সম্মাননা গ্রহণ করেন।
তার এই অর্জনে নিজ এলাকা মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার ঘাসিয়ারা গ্রামের মানুষজন সহ গোটা মাগুরাবাসী গর্বিত ও আনন্দিত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় একনিষ্ঠতা, পেশাগত নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য তিনি এখন দেশের পুলিশ বাহিনীর অনুকরণীয় এক নাম।