বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চায় পাকিস্তান

পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ। তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের মধ্যে হৃদ্যতার বন্ধন রয়েছে, যা ভবিষ্যতে আরও গভীর করতে আগ্রহী ইসলামাবাদ। শনিবার (২৬ এপ্রিল) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসলামাবাদে বাংলাদেশের ৫৪তম জাতীয় ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী আসিফ এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান এবং তার স্ত্রী রওশন নাহিদ।
বক্তব্যে খাজা আসিফ বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ঢাকা ও ইসলামাবাদ পারস্পরিক অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা জোরদারে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে অত্যন্ত মূল্য দিই এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও গভীর করতে আগ্রহী।” পাশাপাশি বাংলাদেশের সরকার ও জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধ্যাপক আহসান ইকবাল চৌধুরী, ড. তারিক ফজল চৌধুরী, মঈন ওয়াট্টু, হাম কামাল, খেল দাস কোহিস্তানি, মালিক রশীদ আহমদ, কায়সার আহমদ শেখ এবং মোহাম্মদ জুনায়েদ আনোয়ার। এছাড়া কূটনৈতিক মিশনের সদস্য, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী ও ব্যবসায়ী নেতারাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান তার বক্তব্যে পাকিস্তানের সঙ্গে দৃঢ় ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, আতিথেয়তা এবং ঐতিহাসিক বন্ধনের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ইকবাল খান সম্প্রতি ঢাকায় সফর শেষে পাকিস্তানে ফেরেন এবং ১৫ বছর পর অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক আলোচনায় অংশ নেন।
সংবর্ধনায় ঐতিহ্যবাহী বাঙালি রসগোল্লা ও বেকি মাছ পরিবেশন করা হয়, যা অনুষ্ঠানে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দুই দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয় এবং পরে অতিথিরা একসঙ্গে কেক কাটার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির বিশেষ মুহূর্ত উদযাপন করেন।
হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং ২০২৪ সালের গণআন্দোলনের অংশগ্রহণকারীদের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, দুই দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করা প্রয়োজন।