বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের উদ্যোগের কড়া সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির আল্লামা মামুনুল হক (ইবনে শাইখুল হাদিস)। তিনি বলেছেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নতুন ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে জেলা খেলাফত মজলিসের আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আল্লামা মামুনুল হক বলেন, “২০২৪ সালের জুলাইয়ের আন্দোলনে অসংখ্য শহীদের আত্মত্যাগের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এখন নতুন ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন বাংলাদেশের ওপর আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যেকোনো বিদেশি প্রভাব বিস্তারের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “১৯৪৭ ও ১৯৭১ সালে আমরা রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু পরবর্তীতে সেই বিজয় বারবার ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ একতরফাভাবে দেশের জনগণকে দমন করে বিদেশি স্বার্থে কাজ করেছে। মেগা প্রকল্পের নামে হয়েছে মেগা দুর্নীতি।”
আল্লামা মামুনুল হক অতীতের নানা ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, “২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে ২০১৩ সালের শাপলা চত্বরের রক্তপাত এবং ২০২১ সালে মোদী বিরোধী আন্দোলনে গুলি চালিয়ে শেখ হাসিনা দেশে সন্ত্রাস ও ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন। ২০২৪ সালের আন্দোলনে ছাত্রজনতার প্রাণ বিলিয়ে গোটা দেশকে রক্তাক্ত করেছে।”
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কুড়িগ্রাম জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মুফতি ইব্রাহিম খলিল নোমানী এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মিসবাহুল ইসলাম সুজা। এতে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি শারাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা ও নির্বাহী সদস্য মাওলানা রেজাউল করিম।
সভা শেষে কুড়িগ্রামের চারটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন আল্লামা মামুনুল হক। প্রার্থীরা হলেন—কুড়িগ্রাম-১ আসনে শহিদুল ইসলাম ফয়েজি, কুড়িগ্রাম-২ আসনে মুফতি নুরুদ্দীন কাশেমী, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে মামুনুর রশীদ এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে মুফতি শাহাদত হোসাইন।