প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ১:০০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৮, ২০২৫, ১০:৫৩ এ.এম
গাজায় গত ৪৮ ঘন্টায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ২০০, উচ্ছেদ ৩ লাখ
ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় আবারও রক্তাক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা। গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজার উত্তরের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আক্রমণে অন্তত ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং ৩ লাখেরও বেশি মানুষকে জোরপূর্বক গাজা শহরের দিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস।
শনিবার (১৭ মে) এক সরকারি বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়। তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু রোববার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর নিশ্চিত করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “ইসরায়েলের রক্তাক্ত ইতিহাসে আরও একটি ভয়াবহ অধ্যায় যুক্ত হয়েছে। শুধুমাত্র উত্তর গাজা গভর্নরেটেই গত দুই দিনে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের এই ধারাবাহিকতা স্পষ্টতই একটি সংগঠিত গণহত্যার অংশ।”
গাজার মিডিয়া অফিস আরও জানায়, ইসরায়েলি বাহিনী এক হাজারেরও বেশি বাড়িঘর পুরোপুরি বা আংশিক ধ্বংস করেছে। আশ্রয়হীন প্রায় ৩ লাখ মানুষকে গাজা শহরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, যেখানে নেই পর্যাপ্ত আশ্রয়, খাদ্য, পানি বা ওষুধ।
সবচেয়ে উদ্বেগজনক অভিযোগটি হলো— ইসরায়েলি সেনারা অ্যাম্বুলেন্স ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দিচ্ছে। ফলে ধ্বংসস্তূপে এখনো ১৪০ জনের লাশ চাপা পড়ে আছে, যা সরাসরি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন।
উত্তর গাজার জাবালিয়া, বাইত লাহিয়া ও আশপাশের এলাকায় শরণার্থীদের জন্য স্থাপন করা শত শত তাঁবু পুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি ড্রোন। গাজার মিডিয়া অফিস বলছে, এসব ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরবতা ও নিষ্ক্রিয়তা গভীর উদ্বেগজনক।
গাজা শহরের আল-জালাআ স্ট্রিট ও আল-সাফতাউই এলাকায় হাজার হাজার পরিবার রাস্তার পাশে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও ওষুধের প্রবেশ সম্পূর্ণ বন্ধ, যা মারাত্মক মানবিক বিপর্যয় তৈরি করেছে।
এই পরিস্থিতিতে গাজার মিডিয়া অফিস আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে। তাদের দাবি— অবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ, উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা নিশ্চিত করা, অবরোধ তুলে দেওয়া এবং ইসরায়েলি নেতাদের আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
আনাদোলুর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপসাগরীয় সফরের চার দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৩৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর আগের চার দিনে নিহতের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০। অর্থাৎ, ট্রাম্পের সফর চলাকালীন সময়েই প্রাণহানির হার চারগুণ বেড়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ মার্চ থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রেখেছে। ১৮ মার্চ তারা যুদ্ধবিরতি ভেঙে হামলা পুনরায় শুরু করে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।