ফেনীতে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটায় ২ লাখ টাকা জরিমানা

মশি উদ দৌলা রুবেল, ফেনী।।  ফেনী সদরের কাজীরবাগ ইউনিয়নের গিল্লাবাড়িয়া এলাকায় অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটায় দুই ব্যক্তিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবেশ সংরক্ষণ ও কৃষিজমি রক্ষায় পরিচালিত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সজিব তালুকদার।
আসামিরা হলেন মো. মশিউর রহমান চৌধুরী (৪০), পিতা-মৃত শরীয়ত উল্লাহ চৌধুরী, উত্তর বিরিঞ্চি, ফেনী সদর এবং মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল করিম, ধর্মপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তারা অনুমতি ছাড়াই কৃষিজমির উর্বর মাটি কেটে তা বিক্রি করছিলেন, যা স্থানীয় পরিবেশ ও কৃষি ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অনুযায়ী তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে মোট দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অভিযানে সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ আনসার বাহিনীর সদস্যরা।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার বলেন, “মাটি কাটা ও পরিবেশ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা দেশের শত্রু। এই ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলবে। ফসলি জমির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় স্থানীয় কৃষকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে টপসয়েল কেটে ফেলা হলে মাটির উর্বরতা হ্রাস পায়, যার ফলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়।
বাংলাদেশের বহু এলাকায় এমন অবৈধ মাটি কাটার প্রবণতা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। বিশেষ করে উন্নয়ন প্রকল্প বা ইটভাটা সরবরাহের উদ্দেশ্যে চোরাই পথে কৃষিজমির মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে, যা পরিবেশ ও কৃষির জন্য মারাত্মক হুমকি।
সরকারি পর্যায়ে অভিযানের মাধ্যমে এই অপরাধ প্রতিরোধ করা গেলেও সচেতনতা এবং স্থানীয় জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এর স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।