
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী জসিম উদ্দিন বেপারী হত্যা মামলায় আরও ১১ জন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেল ৪টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বারের সভাপতি ও আসামিদের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম হাওলাদার। এর আগে আসামিদের লক্ষ্মীপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিনের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত ২২ এপ্রিল রাতে ঢাকার পল্টন এলাকার একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩। পরদিন দুপুরে তাদের লক্ষ্মীপুর আদালতে হাজির করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত যেসব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন—রায়পুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইমাম হোসেন গাজী, উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য আবুল খায়ের গাজী, যুবদলের সদস্য মো. সিদ্দিক আলী দেওয়ান, ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সোলায়মান দেওয়ান, একই ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. হানিফ দেওয়ান, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন বকসি, সাবেক ছাত্রদল নেতা মো. শাহাদাত গাজী, বিএনপি কর্মী খালিদ গাজী, জাকির হোসেন, আব্দুল মন্নান গাজী, মো. নেসার উদ্দিন, মো. মিজান সরদার, মো. খিজির ও তসলিম উদ্দিন। এ ছাড়া উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শামীম গাজি রয়েছেন। তারা সবাই উত্তর চরবংশী ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৭ এপ্রিল বিএনপির দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সময় কৃষক দল নেতা জিএম শামীম ও মোস্তফা গাজীর অনুসারীরা জসিম উদ্দিন বেপারীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ১৪ এপ্রিল ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত জসিমের বাবা ফজল করিম বেপারী ১৬ এপ্রিল ১২৮ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর চরবংশী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি গাজী মোস্তফা কামাল এবং রায়পুর উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব জিএম শামীম। এজাহারে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৪৮ জনের এবং অজ্ঞাতনামা রাখা হয়েছে আরও ৮০ জনকে।
উল্লেখ্য, নিহত জসিম উদ্দিন ছিলেন বিএনপি নেতা ফারুক কবিরাজের অনুসারী এবং পেশায় একজন ঢালাই শ্রমিক।
-রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি