রাজবাড়ী জেলা পুলিশের টানা ৩৬ ঘণ্টার অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের পাঁচজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযানের সময় একটি পিকআপ ভ্যান, মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন ডাকাতি সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার সারদাগঞ্জ পশ্চিমপাড়ার কাদের সরদারের ছেলে শাহ আলম ভাঙ্গারী (৪৫), রংপুর জেলার তারাগঞ্জ থানার একরচালি ইউনিয়নের ছোট লক্ষীপুর গ্রামের মৃত আনছার আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩৬), সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী থানার খাসকাওলীয়া ইউনিয়নের মিয়াপাড়ার আলতাফ হোসেনের ছেলে নুর হোসেন (৪০), টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর থানার অর্জুণা ইউনিয়নের কুঠিবয়রা গ্রামের মৃত একেন্দালী সরকারের ছেলে মামুন সরকার (৪২), এবং একই ইউনিয়নের রামাইলচর গ্রামের মো. সাত্তারের ছেলে মো. সেলিম (৩০)।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাজবাড়ী জেলা পুলিশ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলামের নির্দেশে এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) শরীফ আল রাজীবের তত্ত্বাবধানে, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ মো. মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর, সালনা ও চন্দ্রা এলাকায় একটানা ৩৬ ঘণ্টার অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত দলের এই পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ মে রাত আনুমানিক ২টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়নের চন্দনী গ্রামে একটি সংঘবদ্ধ ডাকাতদল হামলা চালায়। প্রায় ১৫-২০ জনের এই দল লোহার রড, কাঠের বাটাম, ধারালো ছ্যাঁদা ও চাপাতি নিয়ে একটি বাড়িতে হানা দেয়। তারা দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে এবং বাড়ির মালিকের বড় ভাইকে মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে। অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের ভয় দেখিয়ে প্রায় ছয় লাখ টাকা এবং ৫-৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পূর্বে দায়েরকৃত একাধিক মামলা রয়েছে। শাহ আলম ভাঙ্গারীর নামে গৃহ ও সড়ক ডাকাতির ৫টি মামলা, শফিকুল ইসলামের নামে গৃহ ও সড়ক ডাকাতি, চুরি, বাসগৃহ চুরি, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি, মাদক, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ১০টি মামলা এবং নুর হোসেনের নামে জুয়া ও চুরির ২টি মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী, গাজীপুর, ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, কুমিল্লা ও মানিকগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।