প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৯, ২০২৫, ১:৪০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৭, ২০২৫, ১০:১৬ এ.এম
গুমের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘকে পাশে চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
গত দেড় দশকে সংঘটিত গুমের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ তদন্তে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, জাতিসংঘের যেকোনো ধরনের সহযোগিতা সরকার আন্তরিকভাবে গ্রহণ করবে।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতিসংঘের গুম বা নিখোঁজ বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ (Working Group on Enforced or Involuntary Disappearances - WGEID)-এর ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা এবং সদস্য আনা লোরেনা ডেলগাদিয়ো পেরেজের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আমি চেয়েছিলাম, জাতিসংঘ আমাদের চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হোক। এতে প্রক্রিয়াটি আরও শক্তিশালী হবে।”
এ সময় জাতিসংঘের প্রতিনিধিরা গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগ, বিশেষ করে আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ সনদে (ICPPED) বাংলাদেশের যুক্ত হওয়াকে একটি অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করেন। একইসঙ্গে তাঁরা মনে করেন, এ ক্ষেত্রে এখনো অনেক কিছু করার বাকি রয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, গঠিত তদন্ত কমিশনের মেয়াদ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হচ্ছে। তিনি বলেন, “তাঁদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হলেও কমিশন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে। তাঁরা যখন সর্বশেষ প্রতিবেদন জমা দিলেন, আমি বলেছিলাম—দর্শনার্থীদের জন্য একটি ‘ভয়ের জাদুঘর’ থাকা উচিত। আপনাদের সহযোগিতা আমাদের প্রয়োজন।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে ১৩ বছর পর জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে পারছি। আমরা চাই আপনারা আমাদের তদন্ত কমিশনের কাজকে সহায়তা করুন এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত থেকে দিকনির্দেশনা ও শক্তি জোগান।”
ওয়ার্কিং গ্রুপের ভাইস-চেয়ারপারসন গ্রাজিনা বারানোস্কা বলেন, “২০১৩ সাল থেকে আমরা বাংলাদেশে গুম ইস্যুতে কাজ করার চেষ্টা করছি। তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে আপনার সরকার একটি বড় প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরও জানান, প্রতিনিধি দল ঢাকার বাইরে গিয়ে গুমের শিকার ভুক্তভোগী, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।