“শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং নকলমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা—এই দুটি বিষয়ই আমার প্রধান অগ্রাধিকার।” সরকারি মুকসুদপুর কলেজের সদ্য যোগদানকৃত অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমি প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী হিসেবে সরকারের নির্ধারিত পরিপত্র অনুযায়ী কাজ করবো। অতিরিক্ত ফি বা অনৈতিক কোনো কাজ কলেজে চলবে না। সরকারি কলেজে সরকারের নির্ধারিত ফি ছাড়া কোনো টাকা আদায় বরদাস্ত করা হবে না।”

উপজেলা প্রেসক্লাব ও মুকসুদপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে সরকারি মুকসুদপুর কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয়ে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় তিনি আরও বলেন, “এই কলেজের উন্নয়নে আমি ছাত্র-শিক্ষক এবং স্থানীয় সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করছি। একটি আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্যেই আমি এখানে এসেছি।”

অধ্যক্ষ লুৎফর রহমান জানান, কলেজে কোনো অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই। শিক্ষক এবং কর্মচারীদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যেন কেউ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের চেষ্টা না করেন। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদেরও তিনি অনুরোধ করেন যেন কোনো অনৈতিক চাপের মুখে না পড়েন এবং সত্য উদঘাটনে কলেজ কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন সরকারি মুকসুদপুর কলেজের প্রভাষক ও রিপোর্টার্স ইউনিটির উপদেষ্টা মাহবুব হাসান বাবর, প্রভাষক ড. কবির উদ্দিন আহম্মেদ, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শরিফুল রোমান, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি তারিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।

প্রসঙ্গত, গত ৬ মে প্রফেসর মোঃ লুৎফর রহমান সরকারি মুকসুদপুর কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি কিশোরগঞ্জ সরকারি গুরু দয়াল কলেজ, ফরিদপুর সরকারি সারদা সুন্দরী কলেজ, রাজেন্দ্র কলেজ এবং সর্বশেষ মাদারীপুরের ডাসার সরকারি মহাবিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন।

অধ্যক্ষ হিসেবে তাঁর অভিজ্ঞতা ও নীতিনিষ্ঠা শিক্ষাক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তনের বার্তা বহন করছে। তিনি বলেন, “এই কলেজকে আমি একটি মডেল কলেজে পরিণত করতে চাই, যাতে মুকসুদপুর তথা গোপালগঞ্জের শিক্ষার মান নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়।”