বিয়ে করতে না পেরে বাবাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ৩

বগুড়ায় কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় রিকশাচালক শাকিল আহমেদ (৪০) কে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে শহরের ফুলবাড়ি এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে নির্মম এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম, মতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, জিতু একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় চারটি মামলা রয়েছে।
শাকিল আহমেদ শহরের শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে। তিনি একই এলাকার রানার বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফুলবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমাস আলী।
নিহতের স্বজনদের বরাতে জানা যায়, অভিযুক্ত জিতু বেশ কিছুদিন ধরে শাকিলের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু শাকিল প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় জিতুর সঙ্গে তার বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে তাদের মধ্যে একাধিকবার হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে জিতু ও তার সহযোগীরা শাকিলের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে মারধর করে। আত্মরক্ষায় শাকিল তার বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিলেও সেখান থেকেও তাকে ধরে এনে করতোয়া নদীর ঘাটে বেদম মারধর করে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির বলেন, “জিতু শাকিলের কিশোরী মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। শাকিল রাজি না হওয়ায় তার সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। শনিবার জিতু মোটরসাইকেলে করে দলবল নিয়ে গিয়ে শাকিলকে ধরে এনে মারধর করে। পরে তারা শাকিলকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশ পরিস্থিতি বুঝে হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়। পরে হাসপাতালে শাকিল মারা যান।”
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে জিতু ও মতিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
-মাসুম বিল্লাহ, বগুড়া