শিশুদের জন্য রয়েছে রাইডস, আর বড়দের জন্য হস্তশিল্প থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক আয়োজন—সবই যেন এক উৎসবের আবহ তৈরি করেছে।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘তাহের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট’-এর পক্ষে আবু তাহের জানান,
“মেলায় স্থানীয়ভাবে তৈরি হস্তশিল্প, বুননজাত পণ্য, মাটির তৈরি জিনিসপত্র, বাঁশ-বেত ও সোনালী আঁশ পাটের সামগ্রীসহ নানা ধরনের কুটির শিল্পপণ্য বিক্রির জন্য শতাধিক স্টল স্থান পেয়েছে। এছাড়াও শিশুদের জন্য নানা রাইডস রয়েছে।”
শুধু কেনাকাটাই নয়, সন্ধ্যার পর মেলার মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীরা পরিবেশন করছেন বিভিন্ন সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিও ফুটে উঠছে।
শনিবার (১৩ জুন) রাতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকল বয়সের দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। মেলায় ঘুরতে আসা ডিমলার স্কুলশিক্ষক মোতালেব সরকার বলেন,
“প্রচণ্ড গরমের পরেও পরিবার নিয়ে মেলার সব কিছু উপভোগ করলাম। এমন আয়োজন প্রতিবছর হলে আমাদের সন্তানদের মেধা ও মনন বিকাশে সহায়ক হবে।”
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে আসা শিক্ষার্থী সুমাইয়া শিমু বলেন,
“পড়াশোনার জন্য আমি ঢাকায় থাকি। ছুটিতে বাড়ি এসে এ ধরনের একটি প্রাণবন্ত মেলায় আসতে পেরে ভালো লাগছে। এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ তুলে ধরছে।”
এই মেলা স্থানীয় অর্থনীতিকেও সক্রিয় করছে। উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রির সুযোগ যেমন বাড়ছে, তেমনি তারা আত্মনির্ভরশীল হবার প্রেরণাও পাচ্ছেন। আয়োজকরা জানান, ভবিষ্যতে এই মেলার পরিধি আরও বিস্তৃত করা হবে।