নিহত শিশু সিমি উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রুবেল মিয়ার মেয়ে। ছুটির দিনে সে নানাবাড়িতে বেড়াতে আসে। দুপুর ১২টার দিকে বাড়ির পাশের করতোয়া নদীতে খেলা ও মাছ ধরার জন্য নামলে হঠাৎ গভীর পানিতে পড়ে যায়। সাঁতার না জানায় সে আর উঠতে পারেনি।

স্থানীয়রা প্রথমে নিজেরা উদ্ধারে এগিয়ে আসে। এরপর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টার পর করতোয়া নদী থেকে সিমির নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কাশিয়াবালা ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

শিশুটির অকাল মৃত্যুতে পরিবারসহ এলাকাবাসীর মাঝে নেমে এসেছে হৃদয়বিদারক পরিবেশ। প্রতিবেশীরা জানান, সিমি খুবই প্রাণবন্ত ও চঞ্চল ছিল। তাকে এমন অবস্থায় দেখতে হবে—কেউ কল্পনাও করেননি।

শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন bhorerbani.com.bd-কে জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। স্থানীয়দের তথ্য ও পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

বাংলাদেশে প্রতি বছর শতাধিক শিশু এভাবেই পানিতে ডুবে মারা যায়। বর্ষাকালে নদী-নালা ও পুকুরের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়ে। এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সচেতনতা, শিশুদের সাঁতার শেখানো এবং নদী তীরবর্তী এলাকায় নজরদারি বাড়ানো জরুরি বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।