প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৭, ২০২৫, ২:১৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১৪, ২০২৫, ১০:১৭ এ.এম
আওয়ামী লীগ নেতা পদত্যাগ করে বললেন ‘কখনো আর রাজনীতি করবো না’
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন টেংরাখোলা গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান কামাল।
শনিবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় মুকসুদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। এতে তিনি স্পষ্টভাবে জানান, ব্যক্তিগত শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আর রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে চান না।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মুকসুদপুর উপজেলা শাখার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম। কিন্তু আমি হৃদরোগে আক্রান্তসহ নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় ভুগছি। এই অবস্থায় রাজনীতি চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।”
কামরুজ্জামান কামাল আরও বলেন, “আমি স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে অবসর গ্রহণ করছি। আজ থেকে আমার সঙ্গে আওয়ামী লীগের আর কোনো সম্পর্ক নেই। কখনো আর রাজনীতি করবো না।”
কামাল মিয়ার এই ঘোষণায় স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানাবিধ আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এটি একটি সাহসী সিদ্ধান্ত, আবার কেউ মনে করছেন এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাঠামোতে প্রভাব পড়তে পারে।
টেংরাখোলা বাজারের একজন ব্যবসায়ী হিসেবেও কামাল মিয়া এলাকাবাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন। স্থানীয় যুব সমাজের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক ছিল, এবং বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
তবে রাজনীতি থেকে এমন চূড়ান্ত সরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনেকেই বিস্মিত। অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, একবার রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেও ভবিষ্যতে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তার মত বদলানোর সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
তবুও কামাল মিয়ার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, আপাতত তিনি রাজনীতি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত রাখতেই দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।