গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি মনে করেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়।

তার ভাষ্য, এ সময় আবহাওয়া অনুকূল থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষাগুলোও এখনও শুরু হয় না। সে বিবেচনায় এর পরের সময় নির্বাচন আয়োজনের জন্য উপযোগী নয়।

শুক্রবার যুক্তরাজ্যে সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।

বৈঠককে ইতিবাচক উল্লেখ করে জোনায়েদ সাকি বলেন, “এর মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থনীতি ও জনজীবনের সংকট নিরসনের পথ তৈরি হবে। আমরা আগে থেকেই প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়েছিলাম, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত হবে। কিন্তু এত দিন সেই পরিস্থিতি গড়ে ওঠেনি। সরকার এপ্রিলে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলেছিল, যা উপযুক্ত সময় ছিল না।”

তিনি মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হলে দেশে একটি আস্থাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরে আসবে। তাঁর ভাষায়, “এই পরিবেশ সংস্কারের জন্য সহায়ক হবে। এত দিন নির্বাচনের তারিখ নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় সংস্কার কর্মসূচির অগ্রগতি থমকে ছিল। এখন সেই অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।”

সংস্কার উদ্যোগ নিয়ে তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় পর্যায়ে আমাদের আলোচনাগুলো চলছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামতের ভিত্তিতে যেসব বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে উঠবে, তার ওপর ভিত্তি করে জুলাই সনদ তৈরি হবে। এসব বিষয়ে আরও বিস্তৃত আলোচনা প্রয়োজন।”

জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরুকে ইতিবাচক অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান বলেন, “এটা আমাদের জন্য স্বস্তিদায়ক। এই পরিস্থিতি ধরে রাখা জরুরি।”