টানা কয়েকদিনের সামরিক উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাময়িক স্বস্তি ফিরলেও সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ কাটেনি। যুদ্ধবিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও, সীমান্তে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে—আর তার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বেসরকারি বিমান চলাচলে।

মঙ্গলবার (১৩ মে) ভারতীয় দুটি বৃহৎ বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ও ইন্ডিগো একাধিক সীমান্তবর্তী শহরে তাদের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দেয়। এই সিদ্ধান্ত যাত্রী নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাগুলো।

এয়ার ইন্ডিয়া এক বিবৃতিতে জানায়, “সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আমরা জম্মু, লেহ, যোধপুর, অমৃতসর, ভুজ, জামনগর, চণ্ডীগড় ও রাজকোটের ফ্লাইট বাতিল করছি।”

অন্যদিকে ইন্ডিগো জানায়, তারাও জম্মু, অমৃতসর, চণ্ডীগড়, লেহ, শ্রীনগর ও রাজকোটের ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে। এসব শহর ভারতের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত, যেগুলো সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার বিকেল থেকে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে। যদিও এর মধ্যে একাধিকবার দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। তবে বড় ধরনের গোলাগুলি বা বোমা হামলার মতো ঘটনা এখন পর্যন্ত ঘটেনি।

সোমবার ভারতীয় সেনাবাহিনী দাবি করে, কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে তারা একটি সন্দেহভাজন ড্রোন দেখতে পেয়েছে। এর ফলে পুনরায় সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এর আগে উত্তেজনার চূড়ান্ত পর্যায়ে ভারত সরকার সাময়িকভাবে ৩২টি সীমান্তবর্তী বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েছিল। যদিও সোমবার থেকে সেগুলোর কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়। কিন্তু উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কারণে এখন আবারো একাধিক রুটে ফ্লাইট বাতিলের পথে হাঁটছে বিমান সংস্থাগুলো।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তা শঙ্কা বিমান চলাচল ও পর্যটনে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।