ঠাকুরগাঁওয়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবাবসহ মোঃ মুকুল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোর রাতে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার অন্তর্গত জামালপুর ইউনিয়নের শীবগঞ্জ বাজারে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের শীবগঞ্জ বাজারে সেনাবাহিনীর বিশেষ অভিযানে মো. মুকুল নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল সদৃশ বস্তু (পরবর্তীতে লাইটার প্রমাণিত), দেশীয় অস্ত্র, ইয়াবা, বিদেশি কয়েন, এবং স্বাক্ষরযুক্ত ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পসহ বিভিন্ন সামগ্রী জব্দ করা হয়।
শনিবার (১৩ জুন) ভোররাতে সেনাবাহিনীর ঠাকুরগাঁও অস্থায়ী ক্যাম্পের অধীন ক্যাপ্টেন মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে পরিচালিত হয় এই অভিযান। আটক মো. মুকুল শীবগঞ্জ এলাকার মধ্য পারপুগী গ্রামের আইনুল মুন্সীর ছেলে। অভিযানের সময় সেনাবাহিনী ‘আদর্শ ক্ষুদ্র সমবায় সমিতি’ নামে পরিচালিত একটি অফিস ঘেরাও করে অভিযান চালায় এবং মুকুলকে আটক করে।
সেনাবাহিনী জানায়, এই সমবায় সমিতির আড়ালে মাদক ও সুদের ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে আসছিল মুকুল। অভিযানে তার অফিস থেকে ৪৭০ পিস ইয়াবা, স্বাক্ষরযুক্ত ৬০০টি ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প, ৩০টি বিদেশি কয়েনসহ ৬টি নোট, একটি দেশীয় চাইনিজ কুড়াল, একটি স্টিক এবং পিস্তল সদৃশ একটি লাইটার উদ্ধার করা হয়। ইয়াবার বাজারমূল্য আনুমানিক ২ লাখ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সমিতির নামে সাধারণ মানুষকে টাকা দেওয়ার প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাংক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়া হতো। কেউ ঋণের সুদ সময়মতো পরিশোধ না করলে তাদের ভয়ভীতি দেখানো হতো পিস্তল প্রদর্শন করে। এ ছাড়া, বাজারে সিসিটিভি ক্যামেরা বসিয়ে পুরো এলাকার গতিবিধি অফিস থেকে নজরদারিতে রাখা হতো।
অভিযান শেষে আটককৃত ব্যক্তি ও জব্দকৃত মালামাল ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার আলম খান জানান, “সেনাবাহিনী আটককৃতকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক তদন্তে পিস্তলটি আসল নয়, এটি একটি লাইটার হিসেবে শনাক্ত হয়েছে। তবে মাদক ও প্রতারণা সংক্রান্ত অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মুকুলকে আদালতে পাঠানো হবে এবং তার কাছ থেকে আরও তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।