নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে খুলে দেয়া হলো শাহজাদপুরের রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি

তিনদিন বন্ধ থাকার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে দর্শনার্থীদের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অবস্থিত রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি।
শুক্রবার (১৩ জুন) সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম রবীন্দ্র কাছারি বাড়ির ফটক খুলে টিকেট বিক্রির উদ্বোধন করেন। এরপর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কাছারি বাড়ির রবীন্দ্র জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তদন্ত দলের প্রধান উপ সচিব (প্রশাসন) শেখ কামাল হোসেন, সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ কামরুজ্জামান, শাহজাদপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মুশফিকুর রহমান, কাছারি বাড়ির কাস্টডিয়ান হাবিবুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম আলী, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ সাংবাদিকবৃন্দ।
এর আগে গত ৮ জুন এক দর্শনার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোটরসাইকেল পার্কিং ফি নিয়ে গেটের কর্মচারীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। অভিযোগ রয়েছে, ওই দর্শনার্থীকে অফিস কক্ষে আটকে রেখে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। ঘটনার পর স্থানীয় জনতার মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয় এবং ১০ জুন তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। একইদিন কাছারি বাড়ির অডিটোরিয়ামে ভাঙচুর চালানো হয় এবং একজন পরিচালককে মারধর করা হয়।
এই ঘটনায় প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের নির্দেশে রবীন্দ্র কাছারি বাড়িতে দর্শনার্থী প্রবেশ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, “নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় কাছারি বাড়ি বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে বিক্ষোভকারীরা কাছারি বাড়ির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে আসেননি, তারা কর্মচারীদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবেশ করেছিলেন।” তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যে ৫ জনকে শনাক্ত ও গ্রেফতার করেছে এবং পুরাতন কর্মচারীদের পরিবর্তে নতুন কর্মচারীরা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
জেলা প্রশাসক উল্লেখ করেন, “নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল ছিল, পরবর্তীতে এটি আরও শক্তিশালী করা হবে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।”
শাহজাদপুরের ঐতিহাসিক রবীন্দ্র কাছারি বাড়ি পুনরায় দর্শনার্থীদের জন্য খুলে যাওয়ায় সংস্কৃতি ও পর্যটন ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।