প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৮, ২০২৫, ৩:০৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১১, ২০২৫, ১১:০১ এ.এম
রোজার মাসে নির্বাচনী প্রচারের ব্যয় নিয়ে চিন্তিত মির্জা ফখরুল
রমজান মাসে জাতীয় নির্বাচনের সময় নির্ধারণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, রোজা ও ঈদের সময় নির্বাচন হলে রাজনৈতিক প্রচারণার খরচ দ্বিগুণ হয়ে যাবে, যা দলের জন্য এক ধরনের চাপ হয়ে দাঁড়াবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, “নির্বাচনের সময় রোজা বা ঈদের পরে হওয়া উচিত। কারণ এই সময়ে রাজনৈতিক কর্মীদের পক্ষে মাঠে নামা কঠিন হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরম ও বর্ষা জনসভা করতে বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে আমাদের রাতে সভা করতে হতে পারে, যা আবার অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ হবে।”
তিনি আরো বলেন, “নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয় এমনিতেই দিন দিন বাড়ছে। এর সঙ্গে রোজা ও ঈদের মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান যুক্ত হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে। সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণও ব্যাহত হতে পারে।”
সংশ্লিষ্ট সময়ে সরকারের রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়েও সমালোচনা করেন ফখরুল। তিনি বলেন, “সংস্কারের নামে কিছু টিক মার্ক দেওয়া প্রশ্নে আমাদের মতামত চাওয়া হচ্ছে। রাজনীতি কি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র? আমরা বলেছি—প্রধানমন্ত্রী পরপর দুবার থাকতে পারবেন, কিন্তু তৃতীয়বার হতে হলে এক বছর বিরতি লাগবে। এটা একটা মেজর রিফর্ম, যার ব্যাখ্যা প্রয়োজন।”
তিনি আবারও কেয়ারটেকার সরকারের দাবির পক্ষে জোরালো অবস্থান জানান। তার মতে, “আমরা বহু আগেই বলেছি—কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ছাড়া এই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আজ সেই কথাই আবার সত্য প্রমাণিত হচ্ছে।”
ফখরুল আশা প্রকাশ করেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে নির্বাচনের সময় পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং বাস্তবতা বিবেচনায় একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।