প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ২:১০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১১, ২০২৫, ৬:৪৬ এ.এম
বাজেটে ২০ শতাংশেরও বেশি প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়িয়েছে পাকিস্তান
ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার পর প্রতিরক্ষা খাতে নজিরবিহীন বাজেট বরাদ্দ দিয়েছে পাকিস্তান। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় এক লাফে ২০.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫০ বিলিয়ন রুপিতে।
পাকিস্তানি দৈনিক এক্সপ্রেস ট্রিবিউন মঙ্গলবার রাতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে গত মাসের সীমান্তসংঘাতের পর থেকেই নিরাপত্তা ইস্যুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে ইসলামাবাদ। এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জাতীয় বাজেটে। প্রতিরক্ষা খাতে এই বিপুল বরাদ্দ সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালন, অস্ত্র সংগ্রহ, প্রযুক্তি হালনাগাদ এবং কৌশলগত প্রস্তুতিকে ঘিরেই ব্যয় হবে বলে জানায় পাক সরকার।
শেহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার একইসঙ্গে নাগরিক প্রশাসন, পেনশন এবং ভর্তুকির খাতেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছে। সিভিল প্রশাসনের জন্য ৯৭১ বিলিয়ন রুপি এবং পেনশনের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১০৫৫ বিলিয়ন রুপি। বাজেট নথি অনুযায়ী, পেনশন ব্যয় প্রতি বছর বাড়ায় সরকার ক্রমাগত চাপের মুখে পড়ছে।
বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে ভর্তুকির খাত। বিদ্যুৎ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১১৮৬ বিলিয়ন রুপি ভর্তুকি দেওয়া হবে, যা মূলত নিম্নআয়ের গ্রাহক, কৃষি কাজে ব্যবহৃত টিউবওয়েল এবং শিল্প খাতের জন্য প্রযোজ্য। এতে কিছুটা হলেও অর্থনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া সামাজিক কল্যাণমূলক খাতে ১৯২৮ বিলিয়ন রুপি অনুদান বরাদ্দ করা হয়েছে। এই অনুদান বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম (BISP), আজাদ জম্মু ও কাশ্মির, গিলগিত-বালতিস্তান এবং খাইবার-পাখতুনখাওয়ার সদ্য একীভূত জেলাগুলোর উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
সরকার বলছে, এসব বরাদ্দের মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা, জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম বেগবান করা এবং পার্বত্য ও সীমান্তবর্তী অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নই মূল লক্ষ্য।