প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৯, ২০২৫, ৫:১০ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১০, ২০২৫, ২:২০ পি.এম
ইসরায়েলি হত্যাকাণ্ডে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না?

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ঈদ মানেই রক্ত, কান্না আর ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন। এ যেন প্রতিবার ঈদের আগেই ঘোষণা হয়ে যায়, কতটা মৃত্যু অপেক্ষা করছে আরব ভূমিতে। ঈদুল আজহার দিনেও এর ব্যতিক্রম হয়নি।
ঈদের আনন্দের সকালেই ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গাজায় নিহত হন তিন শতাধিক নিরীহ ফিলিস্তিনি। তাদের কেউ ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন, কেউ ছিলেন নিজ ঘরে, কেউ হয়তো নামাজ শেষে ফিরছিলেন। নিহতদের অনেকেই শিশু। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিকের বেশি মানুষ।
দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী যেন এক ভয়াল নিয়ম মেনে প্রতিদিনই চালাচ্ছে বোমা হামলা, গোলাবর্ষণ আর নির্বিচার গুলি। আবাসিক ভবনগুলো ধসে পড়ছে একের পর এক। উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে খুঁজছেন জীবন আর আশার ক্ষীণ ইঙ্গিত।
এই নির্মম বাস্তবতায় ফিলিস্তিনিরা যখন মৃত্যুর মুখোমুখি, তখন বিশ্ব নীরব। মানবাধিকারের ধ্বজাধারীরা যেন চোখে ঠুলি পরেছেন। বড় বড় সভ্য দেশগুলো কেবল বিবৃতি দিয়ে দায় সারছে। আর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র—যে বিশ্বশান্তির মধ্যস্থতাকারী হওয়ার দাবি করে—সে যেন একটি প্রহসনের অংশীদার মাত্র। ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিলে কি এমন সমস্যা হয়? কিন্তু সেখানেই তো যত আপত্তি, যত কূটচাল।
মুসলিম বিশ্বও আশ্চর্যজনকভাবে চুপ। একেকটি দেশ ইবাদতে ব্যস্ত, যেন এই সব হত্যাকাণ্ডের কোনো দায় তাদের ওপর না পড়ে। কিন্তু ইতিহাস কি কাউকে ক্ষমা করে? গাজার শিশুরা যখন ক্ষুধা নিয়ে, বুকে ভয় নিয়ে, রক্তমাখা জামা গায়ে ঈদের দিন পার করে, তখন আমরা কীভাবে নির্বিঘ্নে আনন্দ করতে পারি?
আসলে গাজার ঈদ আর আমাদের ঈদ এক নয়। আমাদের জন্য এই পার্থক্য শুধু আবেগের প্রশ্ন নয়, নৈতিকতারও। আমাদের ঈদের আনন্দের সামনে গাজার শিশুদের ক্ষুধার্ত মুখগুলো যেন অদৃশ্য আয়না হয়ে ওঠে। যারা বেঁচে থাকার জন্য লড়ছে, তাদের গল্পে ঈদ মানে এক নামহীন প্রার্থনা। এই প্রার্থনা শুধু গাজার নয়, আমাদের সবার হোক।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
Copyright © 2025 Daily Shirin