প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৭, ২০২৫, ৮:৩১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ১০, ২০২৫, ২:১১ পি.এম
বুধবার মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে ৫৮ দিনের মৎস্য অবরোধ, ব্যস্ত উপকূলের জেলেরা

দীর্ঘ ৫৮ দিনের অপেক্ষার অবসান ঘটছে অবশেষে। বুধবার (১১ জুন) মধ্যরাত থেকে বঙ্গোপসাগরে আবারও শুরু হচ্ছে ইলিশ শিকার। সরকারঘোষিত সামুদ্রিক মাছের প্রজনন মৌসুম উপলক্ষে চলমান মৎস্য অবরোধ শেষ হলে, গভীর সমুদ্রে ফিরবেন দক্ষিণাঞ্চলের হাজারো জেলে।
ইতোমধ্যেই কুয়াকাটা, আলীপুর ও মহিপুরসহ উপকূলীয় অঞ্চলের মৎস্যবন্দর ও জেলে পল্লীগুলোতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য প্রস্তুত ট্রলারগুলোতে জাল, গেরাফি, তেল, চাল, ডালসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ বোঝাই করে রাখা হয়েছে। জেলেরা অপেক্ষা করছেন মধ্যরাতের সেই মুহূর্তের জন্য, যখন তারা রওনা দেবেন জীবিকার আশায় ভরা সমুদ্রযাত্রায়। কুয়াকাটা মৎস্যজীবী মোশাররফ মাঝি জানান, “১৫ দিন আগেই ট্রলার মেরামত শেষ করে বসে আছি। এবার একটু ভালো ইলিশ পেলে হয়তো ছেলেমেয়েদের মুখে হাসি ফুটবে।”
বরফকলগুলোতেও প্রস্তুতি চলছে জোরেশোরে। মাছ অবতরণ কেন্দ্রগুলোতে চলছে ধোয়া-মোছার কাজ। মৎস্য আড়তগুলো আবার নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। মৎস্যজীবীদের মুখে আবারও আশার আলো।
সরকার ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে। তবে এ বছর প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সময় মিলিয়ে ১৪ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের অবরোধ জারি করা হয়। জেলেরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই সময় নির্ধারণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
অবরোধকালে সরকারের দেওয়া চাল–প্রণোদনা জেলেদের জীবিকা নির্বাহের জন্য যথেষ্ট ছিল না বলে অভিযোগ অনেকের। কুয়াকাটার আড়ৎদার আব্দুর রহিম খান বলেন, “জেলেরা অনেক কষ্টে দিন পার করেছে। এখন তারা আশায় বুক বেঁধেছে, সমুদ্র তাদের ফাঁকা হাতে ফিরিয়ে দেবে না।”
মৎস্যজীবী নিজাম শেখ দাবি জানান, “রেশন কার্ড ও ঝুঁকি ভাতা চালু করতে হবে। কারণ সমুদ্রে গিয়ে অনেক সময় জেলেরা ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে প্রাণ হারান, অথচ তাদের পরিবার পড়ে যায় দুর্বিষহ অবস্থায়।”
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “৫৮ দিনের অবরোধের ফলে ৪৭৫ প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পেরেছে। এবার বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “অবরোধ দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কারণে দেওয়া হয়—মাছকে ডিম ছাড়ার সুযোগ ও ছোট মাছকে বড় হওয়ার সময় দেওয়া। এই বছর নিষেধাজ্ঞা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
প্রতিবেদক - জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
Copyright © 2025 Daily Shirin