দেশে আবারও করোনাভাইরাস নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরে করোনা-সংক্রান্ত কলের সংখ্যা হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে।
সম্প্রতি দেশে করোনায় একজনের মৃত্যুর ঘটনা এবং নতুন ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি জনগণের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে, যার প্রভাব পড়েছে স্বাস্থ্য পরামর্শ সেবাতেও।
স্বাস্থ্য বাতায়নের প্রধান নির্বাহী ডা. নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, করোনায় মৃত্যুর পরদিন থেকেই কলের সংখ্যা বেড়ে যায়, যা আগে ছিল না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা প্রতিরোধে এখনই সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন। বয়স্ক, অন্তঃসত্ত্বা ও জটিল রোগে ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের পাশাপাশি যাঁদের টিকা নেওয়ার মেয়াদ ছয় মাস পার হয়েছে, তাঁদের আবার টিকা নেওয়া উচিত।
তবে বাস্তব চিত্র কিছুটা ভিন্ন। রাজধানীর তিনটি প্রধান সরকারি হাসপাতাল—ঢাকা মেডিকেল কলেজ, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ—এ করোনা পরীক্ষার কিটই নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, পরীক্ষা না থাকায় অনেকেই সেবা নিতে আসছেন না।
ইপিআই সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ফাইজারের ৩১ লাখ টিকা মজুত থাকলেও এর ১৭ লাখের বেশি আগামী আগস্টের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হবে। এখন হাতে কার্যকর টিকা আছে প্রায় ১৪ লাখ ডোজ। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, কেবল ঝুঁকিপূর্ণ নয়, যাঁদের টিকা নেওয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তাঁদেরও টিকা নেওয়া দরকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার চাইলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা আন্তর্জাতিক দাতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন করে টিকা সংগ্রহ করতে পারে। তবে শুধু টিকা সংগ্রহ নয়, জনগণকে উৎসাহিত করতে প্রচারও জরুরি, যার জন্য এখন কোনো বাজেট নেই বলে জানিয়েছেন ইপিআই প্রোগ্রাম ম্যানেজার এ এফ এম শাহাবুদ্দিন খান।
এদিকে আইসিডিডিআরবি জানিয়েছে, দেশে করোনার নতুন ধরন ‘এক্সএফজি’ ও ‘এক্সএফসি’ শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো অমিক্রনের জেএন-১ এর উপধরন। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবুও সচেতন থাকা জরুরি।
ভারতেও নতুন এনবি.১.৮.১ ধরন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এই ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকি গুরুতর নয়।