চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন। রবিবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছোট ছেলে রিয়াদ আহমেদ ও শ্যালক ডা. নওশাদ খান।
বিমানবন্দরে উপস্থিত ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, সাবেক এই রাষ্ট্রপতি সাধারণ যাত্রীর মতোই দেশে প্রবেশ করেন। নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ জানান, “তিনি যাত্রী হিসেবেই এসেছেন। কোনো প্রটোকল বা বিশেষ সুবিধা ছাড়াই ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।”
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমান থেকে হুইলচেয়ারে করে তাঁকে নামিয়ে আনা হয়, যা তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে। তবে তাঁর দেশে ফেরা যতটা গোপনীয় ছিল, তা ঘিরে জনমনে তৈরি হয়েছে নতুন আলোচনার ঝড়।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে রাতে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। তার আগে কিশোরগঞ্জে একটি মামলায় তাঁর নাম উঠে আসে, যেখানে আরও অভিযুক্ত ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ মোট ১২৪ জন। মামলাটি করা হয় ছাত্র আন্দোলনে গুলি চালানো ও হামলার অভিযোগে।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া। রাজনৈতিক অঙ্গন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং নাগরিক সমাজের মধ্যে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন—একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি কীভাবে মামলা থাকা অবস্থায় নির্বিঘ্নে দেশ ত্যাগ করলেন?
ঘটনার জেরে কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীকে প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ইউনিটে কর্মরত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এক উপপরিদর্শক (এসআই) এবং এক সহকারী উপপরিদর্শককে (এএসআই) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।