মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ।। গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় মানবিক এক উদ্যোগের সাক্ষী হলেন স্থানীয়রা। দীর্ঘদিন ধরে শিকলে বন্দী থাকা এক মানসিক প্রতিবন্ধী নারী, সালমা বেগমের দুঃখ-দুর্দশার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাতের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপরই তিনি ছুটে যান সালমার পাশে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৪টায় কাশিয়ানী উপজেলার মাজড়া বাজারে শিকলবন্দী সালমাকে দেখতে যান ইউএনও ফারজানা জান্নাত। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ বজলুর রশিদ, সাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় মেম্বারসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সালমার মানবেতর জীবনযাত্রা দেখে ইউএনও নিজে তাকে নগদ আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন এবং তার জন্য একটি ছোট পরিসরের ঘর নির্মাণের আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে তার এনআইডি ও জন্ম নিবন্ধনের অভাবের কারণে প্রতিবন্ধী ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হওয়া সমস্যার কথাও গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরা হয়।
স্থানীয় চেয়ারম্যানকে তাৎক্ষণিকভাবে সালমার জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করে দ্রুত প্রতিবন্ধী কার্ড প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন ইউএনও। এতে করে সালমা সরকারি সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
প্রসঙ্গত, কাশিয়ানী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিজামুল আলম মুরাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সালমার শিকলবন্দী অবস্থার ছবি ও তথ্য পোস্ট করেন। পোস্টটি ভাইরাল হলে তা ইউএনও ফারজানা জান্নাতের নজরে আসে এবং তিনি দ্রুত ব্যবস্থা নেন।
এই ঘটনা শুধুই এক মানবিক দৃষ্টান্ত নয়, বরং প্রশাসনিক দায়িত্বশীলতারও অনন্য নিদর্শন।