নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সালের বিরুদ্ধে একটি পুরনো সালিশি বৈঠকের ছবি ব্যবহার করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকালে দলের তৃণমূল নেতাকর্মিরা এ ধরনের অপপ্রচারের কথা জানিয়েছে। এতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
কবিরহাট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম জানান, ফয়সাল দীর্ঘ ১৫ বছর দলের জন্য কাজ করেছেন এবং দুঃসময়ে নেতাকর্মিদের পাশে থেকেছেন। দুষ্কৃতকারী মহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করছে। তারা তার নামে ভুল তথ্য হাইকমান্ডের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য গোলাম মোমিত ফয়সাল বলেন, ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে বিএনপির বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৩০ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও জানান, ২০২০ সালে তার ব্যবসার বড় অংকের টাকা আত্মসাতের চেষ্টা হয়েছিল, যার জিডি করেন। ওই বছরের জুলাইয়ে কোম্পানীগঞ্জে একটি সালিশি বৈঠক হয়, যেখানে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করেন। ওই বৈঠকে তার প্রতিপক্ষের হয়ে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই শাহদাতও উপস্থিত ছিলেন।
ফয়সাল বলেন, ঐ বৈঠকের একটি ছবি নিয়ে তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মিথ্যা অপপ্রচার করছে। তারা দাবি করছে, ছবিটি ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী প্রচারণার সময় তোলা, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা একটি অনলাইন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং গোপনে বিভিন্ন নেতাদের মধ্যে লিংক পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
নোয়াখালী জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক এবিএম জাকারিয়া বলেন, সামাজিক কারণে নেতাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেতে হয়। ফয়সালকেও জোরপূর্বক ওই বৈঠকে নেয়া হয়। তিনি বলেন, দলকে বিভক্ত করার পেছনে রয়েছে স্থানীয় কিছু এমপির ইচ্ছা।
