প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৮, ২০২৫, ১০:১৯ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২, ২০২৫, ৭:৩৬ এ.এম
সরকারি রেট অজানা, কম্বাইন হারভেস্টারে কৃষকদের বাড়তি খরচ

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার বিল এলাকায় চলছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। কৃষকরা সরকারি ভর্তুকিতে পাওয়া কম্বাইন হারভেস্টারের ওপর নির্ভর করলেও, দুর্ভাগ্যজনকভাবে নির্ধারিত সরকারি মূল্য সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য নেই উপজেলা কৃষি অফিসের কাছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি বিঘা ধান কাটার জন্য ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন হারভেস্টার মালিকরা। অথচ কৃষি অধিদপ্তর থেকে নির্ধারিত কোনো দামের অনুসরণ নেই।
স্থানীয় কৃষক আইনুল হক জানান, “চার হাজার টাকা চেয়েছে ধান কাটা বাবদ। সরকার কত টাকা নির্ধারণ করেছে, তা জানলে আমরা বাড়তি খরচ দিতাম না।”
আরেক কৃষক জুয়েল বলেন, “আমার খেত রাস্তার পাশে, তবুও ৩ হাজার টাকা নিয়েছে।”
কম্বাইন হারভেস্টার মালিক সুমন ও আসাদুজ্জামান বলেন, “আমরা জানি না সরকার কত টাকা নির্ধারণ করেছে। কৃষি অফিস থেকে কিছু বলা হয়নি। শুধু মেশিন দিলেই দায়িত্ব শেষ নয়। যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে কোম্পানি সহযোগিতা করে না, আর যন্ত্রাংশের দামও চড়া।”
এই বিষয়ে এলাকার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম জানান, “তিনি এ বিষয়ে তেমন কিছু জানেন না। সরকারি রেট জানতে হবে।”
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জীবন ইসলাম বলেন, “আমরা একটা রেজুলেশন করেছিলাম, সেটি এখনও অনুমোদিত হয়নি। প্রায় ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার কথা ছিল, কিন্তু চূড়ান্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।”
উপজেলা কৃষি অফিসার তামান্না ফেরদৌসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজ শাহীন খসরু জানান, তিনি এই বিষয়ে অবগত নন।
স্থানীয় সচেতন মহলের মতে, সরকারি নির্দেশনা মাঠ পর্যায়ে ঠিকভাবে পৌঁছায় না বলেই এমন অনিয়ম হচ্ছে। সরকারের ভর্তুকিতে দেওয়া আধুনিক যন্ত্রপাতি কৃষকদের জন্য সহায়ক হওয়ার কথা থাকলেও, বাস্তবে তা যেন হয়ে উঠেছে আরও খরচসাপেক্ষ ও বিভ্রান্তিকর।
- মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম,পঞ্চগড় প্রতিনিধি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
Copyright © 2025 Daily Shirin