প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৯, ২০২৫, ১:৪৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুন ২, ২০২৫, ৭:২১ এ.এম
এক দিনে রোজা-ঈদ পালন দাবি নতুন ফিতনা, ইসলামের ঐতিহ্যের পরিপন্থী — মত ইসলামি চিন্তাবিদদের
চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ও ঈদ পালনের সুন্নাহি পদ্ধতির গুরুত্ব তুলে ধরে ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এক দিনে সারা বিশ্বে ঈদ উদযাপনের দাবি ‘নব ফিতনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন শীর্ষ ইসলামি চিন্তাবিদ ও মুফতিরা।
ঢাকার রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘দাওয়াতুস সুন্নাহ বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল, সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা ও ঈদ উদযাপন প্রসঙ্গে ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা ও বিভ্রান্তির নিরসন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট আলেম মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি বলেন, “এক দিনে রোজা ও ঈদ পালনের দাবি একটি নব ফিতনা। কিছু অজ্ঞ ও হটকারী ব্যক্তি, যারা ইসলামি জ্ঞানে দুর্বল, তারা এই দাবি করে জাতিকে বিভ্রান্ত করছে। ইসলাম আমাদেরকে স্পষ্টভাবে চাঁদ দেখে রোজা ও ঈদ পালনের নির্দেশ দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “চাঁদ দেখা একটি শারঈ প্রক্রিয়া। এর ব্যত্যয় করলে ইসলামি ঐতিহ্য ও সাহাবাদের আমলকে অস্বীকার করা হয়।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুফতি ইমামুদ্দিন, মুফতি লুৎফুর রহমান ফরায়েজী, ড. মুফতি গোলাম রব্বানীসহ দেশের বিশিষ্ট আলেমগণ। তারা বলেন, “ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে কখনোই পৃথিবীর সব দেশে একই দিনে রোজা বা ঈদ পালন হয়নি।”
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা জসিম উদ্দিন বলেন, “এই নবউদ্ভাবিত মতবাদ ইসলামের সুন্নাহভিত্তিক ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে। এর সূত্রপাত হয়েছে দেশের একটি জেলার মাধ্যমে, যা এখন বড় ফিতনায় রূপ নিচ্ছে।”
পর্যালোচনা সভায় বিভিন্ন বছরের চাঁদ দেখার ঘটনা তুলে ধরা হয়— যেমন ২০১৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ায়, ২০২২ সালে আফগানিস্তান ও ২০২৫ সালে মরক্কোতে চাঁদ আলাদাভাবে দেখা গেছে।
সভা থেকে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়— চাঁদ দেখা কমিটিকে আধুনিকায়ন, মানুষকে সচেতন করা এবং শরীয়াহসম্মত চাঁদ দেখার পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।