খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ।। সুনামগঞ্জে হঠাৎ বজ্রপাত কেড়ে নিল দুইটি প্রাণ। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে জেলার ছাতক ও ধর্মপাশা উপজেলায় পৃথক দুটি ঘটনায় একজন কিশোর ও এক বৃদ্ধা নারী বজ্রপাতের শিকার হয়ে মারা গেছেন। বৃষ্টির মৌসুমি সক্রিয়তার মধ্যেই এই হতাহতের ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ঠেংগারগাঁও গ্রামে। ১৭ বছর বয়সী কাওছার আহমদ শনিবার দুপুরে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন গ্রামের পাশের নাইন্দা হাওরে। এ সময় আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। নিহত কাওছার ওই গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কাওছার বন্ধুদের সঙ্গে হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতের কবলে পড়ে মারা যায়।
একই দিন দ্বিতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের মগুয়ারচর গ্রামে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ৬৫ বছর বয়সী আয়েশা আক্তার দুপুরে বাড়ির পাশের নদীতে গোসল করতে যান। গোসল শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাত তাকে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশপাশের লোকজন ছুটে গেলেও ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। আয়েশা আক্তার ওই গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী।
স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা জানান, বজ্রপাতজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। বর্ষা মৌসুমে হাওরাঞ্চলে বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে। খোলা জায়গায় কাজ করা বা হাওরে অবস্থান করা এ সময় প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। তাই সবার সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর দেশে বজ্রপাতে সহস্রাধিক মানুষ মারা যায়। বিশেষ করে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও সময়মতো সতর্কতা জারি করে থাকে, কিন্তু জনসচেতনতার অভাবে হতাহতের ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।