প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২০, ২০২৫, ৪:২৮ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১, ২০২৫, ৭:৪২ এ.এম
অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তি সই

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে বহুল আলোচিত খনিজ সম্পদ বিষয়ক চুক্তি সই হয়েছে। গতকাল (বুধবার) ওয়াশিংটন ডিসিতে দুই দেশের অর্থমন্ত্রীরা এই যুগান্তকারী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তির আওতায় গঠিত হবে একটি যৌথ তহবিল, যা ইউক্রেনের খনিজ খাতে বিনিয়োগ এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত কিয়েভ পুনর্গঠনে ব্যবহার হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী ইউলিয়া স্বিরিদেনকো জানান, ভূগর্ভস্থ খনিজ সম্পদের মালিকানা ইউক্রেনের হাতে থাকলেও নতুন খনিজ লাইসেন্স থেকে অর্জিত আয়ের ৫০ শতাংশ যাবে এই তহবিলে।
এই তহবিল থেকে প্রাপ্ত আয় সমানভাবে ভাগ হবে—এমন বিধান রাখা হলেও চুক্তি সাক্ষরের আগ মুহূর্তে কিয়েভের প্রতিনিধিরা কিছু সংশোধনীর দাবি জানান। তারা স্পষ্ট করেন, তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য ইউক্রেনের পার্লামেন্টের অনুমোদন অপরিহার্য। এই অবস্থানে মার্কিন পক্ষ কিছুটা ক্ষুব্ধ হলেও, শেষপর্যন্ত বিষয়টি কূটনৈতিকভাবে মীমাংসা হয়।
চুক্তি সাক্ষরের পেছনে একটি তাৎপর্যপূর্ণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে। গেল ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি–এর মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে আলোচনাটি উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রূপ নেয়।
পরবর্তীতে ভ্যাটিকানে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফাঁকে মাত্র ১৫ মিনিটের এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় জেলেনস্কি ট্রাম্পের কাছে সাহায্যের অনুরোধ জানান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত অগ্রসর হয় চুক্তির আলোচনা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চুক্তি প্রসঙ্গে বলেন, “আমি কোনো জটিল চুক্তি করতে চাইনি। ইউক্রেন এখন কঠিন সময় পার করছে, এবং তারা এই সহায়তা বেশি প্রয়োজন করছে। স্কটকে আমি দায়িত্ব দিয়েছি, আর সে দারুণভাবে বিষয়টি সামলেছে।”
তবে চুক্তির বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠিত না হলে, দেশটিতে মার্কিন সামরিক সহায়তা পুনরায় চালু হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কিছু জানাননি ট্রাম্প। মঙ্গলবার এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে আমি সেটি গোপন রাখতে চাই।”
বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি শুধুমাত্র ইউক্রেনের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে না, বরং রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক কৌশলগত অবস্থানও তৈরি করবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
Copyright © 2025 Daily Shirin