পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের সুরাবে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) হিদায়াতুল্লাহ বুলেদি। গতকাল রাতে নিজ বাসভবনে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় তার মৃত্যু ঘটে।

একইসঙ্গে, শহরজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা—জ্বালিয়ে দিয়েছে সরকারি দফতর, লুট করেছে ব্যাংক, ধ্বংস করেছে নিরাপত্তা বাহিনীর যান।

সরকারি মুখপাত্র শহিদ রিন্দ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোলাগুলির সময় বুলেদির পরিবার সদস্যরাও বাসায় উপস্থিত ছিলেন। এই বর্বর হামলায় একযোগে আক্রমণ চালানো হয় অন্তত ছয়টি সরকারি অফিসে, যার মধ্যে ছিল স্থানীয় থানা ও লেভিস আধাসামরিক বাহিনীর একটি পোস্ট।

প্রভাবশালী ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল-এর বরাতে জানা যায়, সশস্ত্র ব্যক্তিদের সংখ্যা ছিল কয়েক ডজন। তারা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়ায়। সুরাবের একমাত্র ব্যাংক লুট করে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ নিয়ে যায়।

এই ঘটনায় চারটি নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়িও ধ্বংস করা হয়েছে। শহিদ রিন্দ দাবি করেছেন, এই হামলার পেছনে ভারতের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর হাত রয়েছে। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান শুরু করেছে।”

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে “নারী ও শিশুসহ নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের ওপর পরিকল্পিত কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী হামলা” হিসেবে আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, “এই হামলা শুধু প্রশাসনের বিরুদ্ধে নয়, গোটা রাষ্ট্র কাঠামোর বিরুদ্ধেই এক চরম আঘাত।”

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেলুচিস্তানসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী হামলা বেড়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনিক কাঠামোকে লক্ষ্য করে এসব হামলা দেশটির স্থিতিশীলতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।