বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় স্মার্ট কৃষির গুরুত্ব তুলে ধরতে অনুষ্ঠিত হলো ‘ইয়াস এশিয়া প্যাসিফিক সায়েন্টিফিক ইভেন্ট-২০২৫’।
“স্মার্ট কৃষি অনুশীলনের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ৩০ মে (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী এ বৈজ্ঞানিক আয়োজনের আয়োজন করে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ স্টুডেন্টস ইন এগ্রিকালচার অ্যান্ড রিলেটেড সায়েন্সেস (ইয়াস বাংলাদেশ)-এর বাকৃবি শাখা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল সেশনে জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, পরিবেশ ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক এবং ইয়াস বাকৃবি শাখার প্রধান উপদেষ্টা ড. মো. জুলফিকার রহমান।
তিনি বলেন, “ক্লাইমেট স্মার্ট এগ্রিকালচার এমন একটি সমন্বিত কৃষি পদ্ধতি, যা উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে দেয়।” তিনি গবেষণার মৌলিক ধারণা, গবেষণা পদ্ধতি ও ফল উপস্থাপনার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. কাজী কামরুল ইসলাম, অধ্যাপক, এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগ – কার্বন ধারণ ও বনজ কৃষির ভূমিকা,
ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ – ধান চাষে গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস ও মৃত্তিকায় কার্বন সংরক্ষণ,
ড. মুরাদ আহমেদ ফারুখ, অধ্যাপক, পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ – চরম জলবায়ুগত ঘটনাবলির স্মার্ট প্রতিকারের কৌশল।
প্রতিটি আলোচনার শেষে অংশগ্রহণকারীদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বেরও আয়োজন করা হয়।
টেকনিক্যাল সেশনের পর অনুষ্ঠিত হয় পোস্টার উপস্থাপনা পর্ব, যেখানে মোট ১৯টি পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে তাৎক্ষণিক পোস্টার প্রস্তুতির প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় চারটি দল। ‘টিম অগ্রযাত্রা’ তাদের সৃজনশীল উপস্থাপনার জন্য সেরা দল হিসেবে পুরস্কার লাভ করে। অংশগ্রহণকারী সবাইকে সনদপত্র প্রদান করা হয়।
দিনের শেষভাগে ইয়াস বাংলাদেশ-এর উপদেষ্টা, সদস্য এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা বাকৃবির কয়েকটি গবেষণাগার পরিদর্শন করেন। এই আয়োজনে শিক্ষার্থীদের গবেষণা মনোভাব গড়ে তোলা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষিপদ্ধতি উদ্ভাবনের প্রয়োজনীয়তার প্রতি জোর দেওয়া হয়।