প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ১৮, ২০২৫, ১২:৪৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৩০, ২০২৫, ৫:৪০ এ.এম
টানা ভারী বর্ষণে প্লাবিত নিচু এলাকা, জনজীবন বিপর্যস্ত

টানা ভারী বৃষ্টির কারণে ঝালকাঠির শহর ও গ্রাম প্লাবিত। কৃষিজমির ক্ষতি, নদীর পানি বৃদ্ধি, জনজীবন অচল। প্রশাসনের সতর্ক বার্তা ও প্রস্তুতি।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঝালকাঠিতে ২৯ মে ভোর থেকে শুরু হওয়া টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে শহর ও গ্রামীণ এলাকা মারাত্মকভাবে প্লাবিত হয়েছে। কখনও মুষলধারে, কখনও বিরতিতে চলতে থাকা বৃষ্টির কারণে শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চরম জলাবদ্ধতা। শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মাঠ, বাসাবাড়ি, সরকারি-বেসরকারি ভবন ও দোকানপাটে পানি ঢুকে পড়েছে। ফলে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। অনেক রিকশা ও অটোরিকশা চালক জীবিকার প্রয়োজনে বের হলেও যাত্রী সংকটে পড়েছেন। অন্যদিকে অধিকাংশ মানুষ জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।
এদিকে, জেলার প্রধান নদী সুগন্ধা ও বিষখালীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে এবং নিচু এলাকা ও কৃষিজমি প্লাবিত হয়েছে। মাঠে থাকা ধান, সবজি ও অন্যান্য মৌসুমি ফসল পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে কৃষকরা রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়। ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল-মামুন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘এইভাবে বৃষ্টি চলতে থাকলে কৃষিতে বড় ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।’’
তবে পানি উন্নয়ন বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এখনো নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা বলেন, ‘‘নদীর পানি বেড়েছে বটে, তবে এখনো তা নিয়ন্ত্রণে আছে।’’
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন জানান, ‘‘যদিও এখনো সরাসরি কোনো সতর্ক সংকেত নেই, তবুও সম্ভাব্য ঝড় বা বন্যার আশঙ্কায় শুকনো খাবার, চিড়া, মুড়ি এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’’
মৌসুমের এই সময়টিতে সাধারণত প্রাক-বর্ষাকালীন বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে, তবে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে এই অস্বাভাবিক টানা বৃষ্টি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বৃষ্টিপাত আরও দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে, যা শুধু কৃষি নয়, যোগাযোগ ব্যবস্থা, শিক্ষা কার্যক্রম এবং স্থানীয় অর্থনীতিতেও বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদক-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি।
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সেলিমা শিরীণ খান
সম্পাদক : এ.এস.এম. জিয়া উদ্দিন খান
নির্বহিী সম্পাদক : ফেরদ্দৌসী খান লিয়া
সহকারী সম্পাদক : আবুল ফাত্তাহ সজু
বার্তা সম্পাদক :
সম্পাদক কর্তৃক - ২৩৩ , শফি মন্জিল , মডেল স্কুল রোড, গোপালগঞ্জ থেকে প্রকাশিত।
Copyright © 2025 Daily Shirin