আজ ৩০ মে, বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় ১১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক এবং পরবর্তীতে গঠিত জেড ফোর্সের নেতৃত্বদানকারী ছিলেন। তিনি ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন, যা পরবর্তীতে তিনবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হয়।
শহীদ রাষ্ট্রপতিকে স্মরণে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো ২৫ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত নানা কর্মসূচি পালন করছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ, ও শ্রদ্ধা নিবেদন।
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচির ঘোষণা দেন। তিনি জানান, জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিনসহ দুইদিন বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানের চেয়ারপারসনের অফিস এবং সারাদেশের দলীয় কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জিয়াউর রহমানের কবরস্থানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে এবং দুস্থদের মাঝে চাল, ডাল ও বস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম চলছে।
জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন এবং পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমানকে সমাহিত করা হয়। যা বর্তমানে ‘জিয়া উদ্যান’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।