নীলসাগর গ্রুপের নতুন পণ্য বাজারজাতকরণের শুভ সূচনা: ব্যবসা ও উন্নয়নে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিনের

নীলফামারী জেলার প্রাণকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো নীলসাগর গ্রুপের নতুন পণ্য ও ‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন। জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে আয়োজিত দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এবং সভাপতিত্ব করেন নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব মো. আব্দুল বাকী, এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ার শাহ মোমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, “অনেকে অর্থবান হলেও নিজ এলাকায় বিনিয়োগ করেন না। কিন্তু প্রকৌশলী লেলিন সে ধারা ভেঙে নিজ জেলা নীলফামারীতে বিনিয়োগ করেছেন। এটি শুধু অর্থনৈতিক নয়, সামাজিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। তাঁর চিন্তাভাবনা উন্নয়নমুখী ও জনগণকেন্দ্রিক। এমন উদ্যোগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়বে, এবং এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নত হবে।”
সাবেক সচিব মো. আব্দুল বাকী বলেন, “নীলফামারীর মতো প্রান্তিক জেলায় বিনিয়োগ করে প্রকৌশলী লেলিন একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঢাকায় ব্যবসার সুবিধা থাকলেও তিনি নিজের শেকড়কে ভুলে যাননি। এমন নেতৃত্ব থাকলে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো দ্রুত বদলে যাবে।”
সমাপনী বক্তব্যে নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আহসান হাবীব লেলিন বলেন, “২৫ বছর ব্যবসা শিখেছি, এখন সময় এসেছে দেওয়ার। আমি চাই সবাই মিলে একসাথে কাজ করি, রাজনীতি ও ব্যবসা পাশাপাশি চলে। আমরা একে অপরের প্রয়োজন। সংকীর্ণতা দূর করে দল-মত নির্বিশেষে একসাথে কাজ করলে নীলফামারীকে বদলে দেওয়া সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “নীলসাগর গ্রুপ কেবল আমার প্রতিষ্ঠান নয়, এটি আপনাদের স্বপ্নের অংশ। জনগণের সহযোগিতা পেলে আগামী এক বছরে এক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান করবো। আমাদের প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় দুই শতাধিক শিক্ষিত বেকার নারী-পুরুষকে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।”
অনুষ্ঠানস্থল ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে সজ্জিত। বিশাল মঞ্চ ও প্যাণ্ডেলের পাশে বসানো হয় নতুন পণ্যের প্রদর্শনী স্টল। সেখানে উপস্থিত দর্শনার্থীরা নীলসাগর কনজ্যুমার প্রোডাক্টের নতুন পণ্যের সঙ্গে পরিচিত হন এবং কিনে নেন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
‘ডোর টু ডোর’ প্রকল্পের ইনচার্জ আওরঙ্গজেব সুজন জানান, “মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থেকে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করে সরাসরি ক্রেতার ঘরে পৌঁছানোই আমাদের লক্ষ্য। এতে একদিকে যেমন খরচ বাঁচবে, তেমনি তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান।”
প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর পর নিজ এলাকায় ফিরে আসায় আহসান হাবীব লেলিনকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয় নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, বিভিন্ন সংগঠন এবং সর্বস্তরের জনগণ। এই উদ্যোগ শুধু পণ্য বিপণনের নয়, এটি নীলফামারীর উন্নয়নের একটি শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।