বাংলাদেশের আকাশসীমা নিরাপদ রাখতে ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় একটি আধুনিক, যুগোপযোগী এবং দক্ষ বিমান বাহিনী গঠনে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সবসময় প্রস্তুত।”
আজ রাজধানীর বীর উত্তম এ কে খন্দকার ঘাঁটিতে বিমান বাহিনীর অনুশীলন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান, যিনি প্রধান উপদেষ্টাকে ঘাঁটিতে স্বাগত জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ একটি বিমান বাহিনীই আগামীর নিরাপদ বাংলাদেশের মূল ভিত্তি। তিনি বিমান বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, “আপনাদের মধ্যে যুগোপযোগী সক্ষমতা, পেশাগত দক্ষতা এবং কারিগরি জ্ঞানের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলেই আমরা একটি উন্নত, শক্তিশালী ও নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো।”
তিনি আরও বলেন, সরকার অচিরেই বিমান বাহিনীতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, পরিবহন হেলিকপ্টার, রাডার ও অন্যান্য প্রযুক্তি সংযোজনের উদ্যোগ গ্রহণ করবে। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ ও বহুমাত্রিক অনুশীলনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, “বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তনশীল নিরাপত্তা ও প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে নিজেদের প্রস্তুত রাখতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী সবসময় সচেষ্ট।”
অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা যুদ্ধে বিমান বাহিনীর গৌরবময় ভূমিকার কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন প্রফেসর ইউনূস। একইসঙ্গে তিনি ২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে শহীদ তরুণদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, যারা দেশের অধিকারের প্রশ্নে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
বিমানবাহিনীর পেশাদারিত্ব ও দায়িত্ববোধের বাস্তব রূপ হচ্ছে এই মহড়া, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এই অনুশীলন আমাদের সামরিক সক্ষমতার স্পষ্ট প্রতিফলন। নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার মাধ্যমে বিমান বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালনে অটল রয়েছেন।”
শেষে তিনি দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কেবল আকাশ প্রতিরক্ষা নয়, বরং সমুদ্রসীমা নিরাপত্তার দিকেও সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছে।”