উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য এলাকায় সৃষ্ট একটি লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে আরও শক্তিশালী রূপ নিতে পারে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে চলতি সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ টানা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ইতোমধ্যেই বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। এর প্রভাবে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের প্রবণতা বাড়বে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার থেকেই রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। কিছু এলাকায় মাঝারি ধরনের ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। এ সময় দিনের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েও যেতে পারে, যদিও রাতের তাপমাত্রা থাকবে প্রায় অপরিবর্তিত।

বুধবার (২৮ মে) থেকে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়বে। দেশের আটটি বিভাগের অধিকাংশ এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোথাও কোথাও হতে পারে মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত। একই সঙ্গে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা থাকবে প্রায় একই পর্যায়ে।

বৃহস্পতিবার (২৯ মে) পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টিতে দক্ষিণাঞ্চলের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

শুক্রবার (৩০ মে) এবং শনিবার (৩১ মে) আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা না থাকলেও সারাদেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। কোথাও কোথাও অতি ভারী বর্ষণের পাশাপাশি বজ্রপাতও হতে পারে। তাপমাত্রার তারতম্য হবে সামান্য।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের প্রবণতা ধীরে ধীরে কমতে পারে। তবে এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা, নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি ও ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা থাকায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।