প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ২১, ২০২৫, ১২:১৬ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ২৭, ২০২৫, ১০:৩৫ এ.এম
টানা দরপতনে বিপর্যস্ত শেয়ার বাজার, তিন সপ্তাহে ১০ হাজার কোটি টাকার ধস
দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভয় ও হতাশা বাড়ছে। ঈদের পর থেকে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন কমেছে প্রায় ১০ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা। বাজারের সূচক ও লেনদেনের ধারাবাহিক পতন বিনিয়োগকারীদের সংকটে ফেলেছে।
সপ্তাহের লেনদেনচিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫৭টির, কমেছে ৩২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির। অর্থাৎ ৮১.৮২ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। গত সপ্তাহের শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০ কোটি টাকায়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় কমেছে ৭ হাজার ৮৬ কোটি টাকা বা ১.০৬ শতাংশ।
শুধু বাজার মূলধনই নয়, প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স গত সপ্তাহে কমেছে ১২৪.৭৩ পয়েন্ট। তার আগের সপ্তাহে কমেছিল ১০৭.৯০ পয়েন্ট এবং তার আগের সপ্তাহে ১৩.৯৩ পয়েন্ট। সবমিলিয়ে তিন সপ্তাহে সূচক কমেছে প্রায় ২৩৫ পয়েন্ট। ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কমেছে ৩৯.০১ পয়েন্ট এবং ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩০.৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেনের গতিও আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে গড়ে দৈনিক লেনদেন হয়েছে ৩৪৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ১৩.৮৮ শতাংশ কম। এতে বিনিয়োগকারীদের হতাশা আরও বেড়েছে।
পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম জানান, বর্তমান কমিশন বাজারকে বাজারের মতো চলতে দিতে চায়। সূচক উঠানামায় বিএসইসি সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। তবে বাজার উন্নয়নের জন্য টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে এবং ইতিমধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিবেদন জমা পড়েছে। পুরো প্রতিবেদন পাওয়ার পর দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।